Sandhya mukherjee - এ শুধু গানের দিন...
Sandhya Mukherjee recorded her first song in 1948. From 1950s onwards, she was the number one female playback singer in Bengali films and the “voice” of Bengal's most glamorous, legendary actress Suchitra Sen
Sudipta Chattopadhyay
Editor-In-Charge
Sandhya Mukherjee Special Bulletin
বাঙালীর রোমান্সের সাথে সন্ধ্যা মুখার্জী'র গান যেন কথায় সুরে এক অলীক রূপকথা …(A biopic on Sandhya Mukherjee)
মায়াভরা মাধবী রাত, যখন মায়াবিনী চাঁদের বনজ্যোৎস্নায় ভাসে, তখন খোলা ছাদে হয়ত কোন প্রেমসিক্ত মন গেয়ে ওঠে,“ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা/এই মাধবী রাত, আসেনি ত’ বুঝি আর/জীবনে আমার। পাশাপাশি হাতে হাত হয়ত আরেকটি মন গুণগুণ করে - "এ গানের প্রজাপতি পাখায় পাখায় রঙ ছড়ায়" ..
সেই ছোট্ট বেলাতেই গানের বনে যার অবাধ যাতায়াত ,যার কিন্নরীকণ্ঠের জাদুতে মজে আছে বাঙালীর বেশ কয়েক প্রজন্ম সেই কালজয়ী শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জন্মেছিলেন ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায়। মা হেমপ্রভা মুখোপাধ্যায়, বাবা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
ছোট থেকেই নজরে আসে,গানের প্রতি সন্ধ্যার যেন এক অমোঘ টান,সুর কানে এলেই দাঁড়িয়ে পড়ত ছোট মেয়েটি। বাবা মা’র কাছেই গানের হাতেখড়ি হলেও তার সঙ্গীত শিক্ষার মূল কাণ্ডারি কিন্তু ছিলেন তার দাদা রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। স্বরক্ষেপণের ক্ষমতাতেই তিনি আন্দাজ পেয়েছিলেন, ছোট বোনের কণ্ঠে আছে বিশেষ কিছু ।তাঁর হাত ধরেই সন্ধ্যা পৌঁছেছিলেন তাঁর প্রথম সঙ্গীতাচার্য যামিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তারপর সাবলীল ছন্দে নাড়া বাঁধা রাগাশ্রয়ী ঝোলনায়…
সন্তোষ বসু মল্লিক,এ টি কানন, চিন্ময় লাহিড়ী একাধিক দিকপাল গুরুর সুরে সুর মিলিয়ে সঙ্গীতের সাধনপথে যাত্রা তার মার্গসঙ্গীতের তালিমের সূত্রে অল্প দিনের মধ্যেই বেঙ্গল মিউজ়িক কনফারেন্স, অল ইন্ডিয়া মিউজ়িক কনফারেন্সে গুণিজনদের নজরে আসা।
১৯৪৫-এর অগস্ট মাসে এক চোদ্দ বছর বয়সের কিশোরীর প্রথম রেকর্ড বেরলো কলম্বিয়া থেকে।গিরীন চক্রবর্তীর কথায় ও সুরে ‘তুমি ফিরায়ে দিয়াছ’ আর ‘তোমার আকাশে ঝিলমিল করে’। আর বছর দু’য়েকের মধ্যেই রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘অঞ্জনগড়’ এবং রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘সমাপিকা’ দু’টি বাংলা ছবিতে নেপথ্যে কণ্ঠে গাইবারও সুযোগ হয়ে গেল: শুধু তাই নয় ওই একই বছরে তিন তিনটি আধুনিক গানের রেকর্ড! ১৯৪৬ সালে প্রথম হলেন ‘গীতশ্রী’ পরীক্ষায়,ভজনেও প্রথম স্থান
পরীক্ষক কারা ? উস্তাদ আলাউদ্দিন খান, উস্তাদ মহম্মদ দবির খান, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখেরা। এর পর এল সেই ক্ষণ যখন দাদা তাঁকে নিয়ে গেলেন পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে। মনে মনে বাসনা যদি তিনি বোনকে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেন উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খানের কাছে এবং জ্ঞানপ্রকাশের বাড়িতেই সেই সুযোগ ঘটে সন্ধ্যার। তার পরই কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর কাছে প্রশিক্ষণ।
১৯৪৫ থেকে ১৯৪৮ মাত্র তিন বছরের গানযাপনেই এই কিশোরী বুঝিয়ে দিলেন তিনি থাকতেই এসেছেন। ১৯৪৮-এর শেষ, রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সুরে ‘বিদুষী ভার্যা’ ছবির গান রেকর্ডিং সেরে ঢাকুরিয়ায় বাড়ি ফিরেছেন সন্ধ্যা। শচীন দেববর্মনের পরিচিত এক ব্যক্তি— যিনি সন্ধ্যার পরিবারেরও চেনাজানা— সেই শচীন গঙ্গোপাধ্যায় সে দিন সন্ধ্যার বাড়িতে এসে বললেন “শচীন দেব তোমায় বম্বে নিয়ে যেতে চান। শচীনদার স্ত্রী মীরা দেববর্মনও তোমার গান শুনতে চেয়েছেন” তখন কলকাতায় সাউথ অ্যান্ড পার্কের বাড়িতে মীরা দেব বর্মন থাকতেন। এক দিন সন্ধ্যা গান শুনিয়েও এলেন মীরাদিকে।মুম্বই যাবেন কি যাবেন না সেই নিয়ে কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পর ১৯৫০-এ সন্ধ্যা শেষ পর্যন্ত মুম্বই গেলেন।
সেদিন সকাল থেকে সেকি বৃষ্টি ওই বৃষ্টি মাথায় করে হাওরা থেকে বোম্বে মেল ধরে বোম্বে,সঙ্গে দিদি সরসী আর বড়দা। শচীন দেববর্মন নিয়ে গেলেও মুম্বাইয়ে প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ হল অনিল বিশ্বাসের সুরে ‘তারানা’ ছবিতে। সেই ছবিতে গাইতে গিয়েই লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে পরিচয় হল। পরিচয়ের কিছু দিনের মধ্যেই লতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয়ে যায় সন্ধ্যার গানটা ছিল লতার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে— ‘বাল পাপিহে বোল রে, তু বোল পাপিহে বোল’… অভিনেত্রী মধুবালার লিপে লতার, সন্ধ্যার গান ছিল শ্যামার লিপে। অনিল বিশ্বাসের সুরে পরে ‘ফরেব’ ছবিতে গেয়েছেন সন্ধ্যা।
এরপর ১৭টি হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক করেন তিনি। দু বছর পর ফিরে যান কলকাতায় লেখা হয় বাংলা চলচিত্র জগতে আধুনিক গানের নতুন ইতিহাস …' ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু' দিয়ে সন্ধ্যা-সুচিত্রা পথ চলা শুরু করেছিল সেই ১৯৫৪ সালে।
বছরের পর বছর সন্ধ্যার গানের ইন্দ্রধনু যেমন আমাদের মনের আকাশে সাতরঙ এঁকেছে তেমনই সেই আকাশের ধ্রুবতারার মত উজ্জ্বল হয়ে ছিলেন সুচিত্রা। বাঙালি দর্শক ও শ্রোতাদের মনে একটা স্বপ্ন এবং ভালবাসার মদির মায়াজাল বিছিয়ে দিয়েছিলেন দুজনে মিলেই যার বিহ্বলতা এখনও আমাদের আচ্ছন্ন করে। বাংলা চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত জগতের স্বপ্নভুবন সুচিত্রার ঠোঁঠে তাঁর সপ্তসুর চিরকালের জন্য অনুরণিত হবে।
১৯৫৬ সালে মুক্তি পেল সাগরিকা, সবার উপরে, শিল্পী, একটি রাত ও ত্রিযামা ।
১| ' জানি না ফুরাবে কবে ' এবং ২| ' ঘুম ঘুম চাঁদ '। গানদুটির শব্দ চয়ন ও সুর ছিল অসাধারণ । এরপর সাগরিকা ছবির প্রতিটা গান ছিল সুপার ডুপার হিট । স্মৃতির পটে আজও ঝলসে ওঠে ১| ' এই তো আমার প্রথম ফাগুন বেলা ', ২| ' তব বিজয় মুকুট ' , ৩|' এই মধুরাত শুধু ফুল পাপিয়ার ', ৪| ' পাখি জানে ফুল কেন ফোটে গো '। রবীন চ্যাটার্জির সুর এবং গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও প্রণব রায়ের লেখনীতে অসাধারণ গান এবং মিসেস সেনের লিপ মেলানোর জাদুকরী ভঙ্গিমার সংমিশ্রণ। উত্তম সুচিত্রা অভিনীত সব ছবির থেকে সাগরিকা সবচেয়ে বেশি দিন হল এ চলেছিল । শ্রী প্রেক্ষাগৃহে একটানা ২৪ সপ্তাহ চলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
গোধূলী বেলায় বাইকে যেতে যেতে 'মহানায়ক' উত্তমকুমারের সাথে 'মহানায়িকা' সুচিত্রা সেন গাইছেন 'এই পথ যদি না শেষ হয়' … হেমন্তের সুরে ১৯৬১ সালে সাড়াজাগানো ছবি উত্তমকুমার প্রযোজিত, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনী নিয়ে ' সপ্তপদী '
চোখে চোখে ,সুরে সুরে এই প্রেমস্বাদ যেমন বাঙালির রক্তে মিশে গেছে, ঠিক তেমনই পর্দার আড়ালের 'উত্তম-সুচিত্রা' হেমন্ত-সন্ধ্যা জুটির সুরের বিমূর্ত রসায়নে আজও ডুবে আছে আপামর বাঙালী … ১৯৫৭ সালে কিংবদন্তি সুচিত্রা -- সন্ধ্যা জুটির অনন্য সাধারণ উপহার দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে। ' মোর ভীরু সে কৃষ্ণকলি ; শোনা যায়,যেটির সুর সৃষ্টি করতে গিয়ে সুরকার রবীন চট্টোপাধ্যায় নাকি সারাদিনে দশ প্যাকেট সিগারেট খেয়েছিলেন ' পথে হল দেরী ' এই ছবিতে চারটি গান ১| এ শুধু গানের দিন ; ২| পলাশ আর কৃষ্ণচূড়া ; ৩| তুমি না হয় রহিতে কাছে ; ৪| সাঁঝ ঝরা লগনে আজ। জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল তখনও এবং এখনও। এগুলির সুরকারও সেই অদ্বিতীয় রবীন চট্টোপাধ্যায়।
' সূর্য তোরণ ' ,’চাওয়া পাওয়া’ ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে গেয়েছিলেন অপূর্ব দুটি গান। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ব্যতিক্রমী সুরস্রষ্টা: সলিল চৌধুরীর বেশ কিছু গানও গেয়েছেন ‘উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা‘– ‘ যা রে যা ফিরে যা‘, ‘ গুনগুন মন ভ্রমরা’, ‘ যদি নাম ধরে তারে ডাকি‘, ‘সজনী গো কথা শোনো‘, ‘গা গা রে পাখি গা‘, ‘গহন রাতি ঘনায়‘, ‘কিছু আর চাহিব না‘ ইত্যাদি।
“সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নিঃসন্দেহে একজন ভালো গায়িকা। তবে, ওর আর একটা বড়ো পরিচয় হল, সন্ধ্যা একজন সুন্দর চরিত্রের মেয়ে।” গীতশ্রীর সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছিলেন সর্বশ্রী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। মুখোপাধ্যায় পরিবারের সকলেই সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িতে ছিলেন ওতপ্রোতভাবে। ‘আজকে আমি মরণলোকে ' - গানটি তেমন পপুলার না হলেও খুব গানটি গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী স্বর্ণযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার শ্রদ্ধেয় শ্যামল গুপ্ত মহাশয়ের লিখিত। এই গানটি নিয়ে একটা গল্প আছে ,গানটি যখন শ্যামলবাবু পড়ে শোনান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে তখন নরম মনের মানুষ সন্ধ্যা ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলেন হঠাৎই! তারপর লজ্জিত সন্ধ্যা উঠে চলে যান শ্যামলবাবুর সামনে থেকে।তখন তাঁরা বিবাহিত দম্পতি তো ননই বরং চেনেনই না একে অপরকে ভাল করে।এমন নরম মনের পরিচয় পেয়ে শ্যামল গুপ্ত মহাশয়ের গীতশ্রীকে ভাললাগার শুরু।
এত বড় মাপের শিল্পী হয়েও তিনি খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। প্রতিবছর সরস্বতী পুজোর সময় পরিবারের সকলকে একসঙ্গে নিয়ে বৈঠকী আড্ডায় বসতেন তিনি। সকলেই নানান গান, কবিতা করলেও মধ্যমণি ছিলেন কেবলমাত্র সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। '
৭৬ বছর বয়সেও ১৯৫৬ সালে রেকর্ড করা গান কয়েকশো শ্রোতার সামনে গেয়েছিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, কলকাতায় ছিল এটা তাঁর শেষ অনুষ্ঠান,মা ও মেয়ের এই অনবদ্য যুগলবন্দীতে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়াম হয়ে উঠেছিল সংগীতের মূর্ছনায় পরিপূর্ণ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে মান্না দে'র সাথে তাঁর অসাধারণ যুগলবন্দীতে সেই সন্ধ্যার প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে উঠেছিল এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
১৫ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকেল।আইসিইউয়ের নার্সেরা তাঁকে বার বার অনুরোধ করেছেন, ‘ম্যাডাম, চোখ বুজে একটু বিশ্রাম নিন’। কিন্তু নারাজ ‘গীতশ্রী’। তাঁর ইচ্ছে, গান শুনবেন। কিন্তু আইসিইউয়ে তা কী ভাবে সম্ভব, তাই নার্সের কাছে গান শোনানোর আবদার করেন সন্ধ্যা।
তাঁর আবদারে নার্স গেয়ে ওঠেন, ‘তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে’, ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে’। তার পরেও বিশ্রাম নিতে নারাজ সন্ধ্যা। গান না শুনলে যে তিনি বিশ্রাম নিতে পারছেন না! অগত্যা আইসিইউয়ের নার্সিং ইন-চার্জ নিজের মোবাইলে চালালেন শিল্পীর পছন্দের গান। ‘গীতশ্রী’র ১০৪ নম্বর শয্যা তখন ভেসে যাচ্ছে ‘ এই শহর থেকে আরও অনেক দূরে চলো কোথাও চলে যাই...’সুরের মূর্ছনায়।
এক সময় আর চোখ আর খুললেন না সন্ধ্যা। ‘তুমি না হয় রহিতে কাছে’ র প্রার্থণা পাশ কাটিয়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পার্থিব শরীরের থেকে মুক্ত শাশ্বত আত্মা পাড়ি দিল অনন্ত যাত্রাপথে।
( গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় - ৪ ঠা অক্টোবর, ১৯৩১ - ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ )
এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলতো, তুমি বলো...না, না তুমি বলো...
Sushmita Dutta CEO, TriState Community Bulletin, US and Global
Thanks to Sudipta Chattopadhyay for such a wonderful and heartfelt writing on Sandhya Mukherjee and with so much information. Yes, indeed, the combined work of Suchitra Sen, Uttam Kumar and Sandhya/Hemanta Mukherjee together with all the story writers, directors and music directors curved that "Romantic and Respectful" image of Bengali women. Sandhya Mukherjee said in an interview - "Sitting in one dark, cinema hall, Bengalis felt that emotion, the love we delivered on movie screen and later they tuned-in to radio to listen to our songs. This love will never die. Bengalis will always want to listen to these songs, years after years."
Susmita Roychowdhury
Writer and Blogger New Jersey
সনাতন তব সুললিত সন্ধ্যা! তবুও শ্রদ্ধাঞ্জলি!
গানের ইন্দ্রধনু আজ স্বপ্ন ছড়িয়ে যায় সঙ্গীত মুখরিত বৈকুন্ঠধামের সন্ধ্যায়। কুহু গুঞ্জরণে গাঁটছড়া বাঁধে মৌমাছির পাখনার হিন্দোল। হৃদয়ের মিতালীতে সুর তোলে আবেগমিশ্রিত রোমান্টিসিজম। দোলনচাঁপার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সুগন্ধে ঋতুরাজ হেমন্তের সাথে সরগম সাজায় সন্ধ্যার আদুরে ব্যতিক্রমী কন্ঠস্বর। নেপথ্যে তখন নিশিপদ্মের গর্হিত প্রেম বা চম্পা-চামেলি-গোলাপের সুগন্ধি সহাবস্থান। আসলে এমন মায়াবী কন্ঠস্বরেই প্রেমে পড়া যায় বারবার। এমন শিল্পীর গানে বারবার লেখা যায় কবিতা। আকাশের অস্তরাগে চিরকালীন থেকে যায় মধুমালতির রোমান্টিক আবেদন। যাঁর গানে এভারগ্রীণ সখ্যতা সাজায়, স্বর্ণযুগের সাথে মিলেনিয়ান জেনরেশন, তিনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
ছোটবেলায় প্রতিবছর লক্ষ্মীপুজোর সকালে ঘুম ভাঙতো তিনটে জিনিসে। ফুল-চন্দন-ধুপের সাথে খিঁচুরির গন্ধ, মাথার কাছে মায়ের শাড়ী আর “এস মা লক্ষ্মী বসো ঘরে”র রিপিট ভার্সান। হৈহৈ ব্যাপার, কোজাগরীর ডাক আর বাড়ি ভর্তি লোকজন। ছোটপিসির সাথে গলা মেলাতাম আমিও সেই গানে। সেই প্রথম পরিচয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সাথে। আজ দেশছাড়া বহুবছর, তবুও আমার কোজাগরী অসম্পূর্ণ এই গান ছাড়া। শঙ্খ বাজিয়ে মৃণ্ময়ী মূর্তিকে প্রতিবছর ঘরে আনার জায়গায় এখন স্থান পেয়েছে লক্ষ্মীমন্ত ছবি। বদলে গেছে পুজোর স্থান-সরঞ্জাম কিন্তু আজও অপরিবর্তিত এই গানের আমেজ। একটু বড় হওয়ার সাথে ডায়েরিতে স্থান পেয়েছিল আমার সখের কলম। তখন শনি-রবির দুপুরে বেশ জাঁকিয়ে বসত যৌথপরিবার বিবিধ ভারতীর জলসায়। কালো রডের জানলায় পিঠ ঠেকিয়ে বসতাম আমিও, মিঠেকড়া রোদে তখন মায়াবতী মেঘ আর ডায়েরিতে ফুলঋতুর কবিতারা। মিষ্টি নরম স্বপ্ন দেখতে ভাল লাগত যাঁদের গানে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কলেজের প্রথম বছরে তাক লেগে গেছিল সিনিয়র দিদির গলায় “পথ ছাড়ো ওগো শ্যাম” শুনে। নোটস্ নেওয়ার ছলে প্রিয় বোন হয়ে গেছিলাম শুধুমাত্র মাঝেমধ্যে তার গলায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান শুনব বলে। “ওগো মোর গীতিময়” বা “তুমি নির্মল করো”, এমন গানে কল্পনা লেখা যায়। আমার ছোটবেলায় রবিবার বিকেলে দূরদর্শনে দেখানো হত বাংলা চলচ্চিত্র। অন্তরঙ্গ সুরেলা কন্ঠস্বরে, বাইকে চড়ে পথ হারানোর হাতছানিতে অভিসার আঁকে অষ্টাদশীর মন। উত্তম-সুচিত্রার রোমান্টিক জুটির অনেকটা জুঁড়েই যাঁর নাম তিনি এক এবং অদ্বিতীয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অবশ্য শুধু সুচিত্রা নয়, স্বর্ণযুগের নায়িকা সংবাদের অধিকাংশ গানে যে প্রজাপতিরা রং ছড়ায় তার নেপথ্যেও তিনি। এই স্বীকারোক্তি করতে এতটুকু বিব্রত নই, ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার সন্ধিক্ষণে আমি অনেকদিনই স্বণামধন্যা বহু গায়িকাদের গান চট করে বলে দিতে না পারলেও দুটি কন্ঠস্বর একবারেই চিনে ফেলতাম, সন্ধ্যা এবং লতা।
ছায়াছবির গানের প্রাচুর্যে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কোনওদিনই বন্ধ করেননি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রেওয়াজ। শিল্পীর পরিচয় এখানেই। ঝুলিতে তখন লাইফটাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড, প্লে ব্যাক সিঙ্গার ক্যাটগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বঙ্গ বিভূষণ সম্মান তবুও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত থাকেন এই শিল্পী। বেতারে সম্প্রচারিত তাঁর দেশাত্মবোধক গান,২১শে ফেব্রুয়ারির পল্টনে তাঁর কন্ঠে সুর তোলে শান্তির আহবান। তাই শুধু এপারবাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষের কাছেও প্রাণের শিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ১৫ ফেব্রুয়ারি,২০২২, একটি যুগের অবসান। অসাধারণ সুরের জাদুতে অগুন্তি দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ রেখে বৈকুন্ঠধামে পাড়ি দিলেন তিনি। তবে এমন মানুষের মৃত্যু হয়না। বিসর্জন হয় শরীরের, সুরের মাধুর্যে অবিনশ্বর থেকে যায় শিল্পী। চন্দন পালঙ্কে শুয়ে তিনি একা নন, অগুন্তি শ্রোতার চোখের জলে শ্রদ্ধার অঞ্জলি সাজায় হাজার দ্বীপের আলো। সোনার মুকুট নয়, সুরের মুকুটে দ্বীপ্তিয়মান গায়িকার অভিষেকের গৌরব আজও অমলিন। যাঁর কন্ঠে স্বয়ং মা সরস্বতী বাস করেন তাঁর কাছে অসময়ের “পদ্মশ্রী” ভীষণ ঠুনকো। তাই তিনি অবলীলায় প্রত্যাখ্যান করেন বাহুলতার খ্যাতি। আধুনিক বা ধ্রুপদী বা পুরাতনী গানে, সঙ্গীতজগতে তাঁর পরিচয় তিনি কিংবদন্তি, তিনি এক এবং অদ্বিতীয়া বাংলায় সুরের রানি। অন্তর চায় “আরও কিছুক্ষণ না হয় রহিতে কাছে”, সান্তনা আসে শিল্পীর পথচলা দাহকর্মে ফুরায় না। গোধূলী সন্ধ্যা নামে মার্কিণী অন্দরমহলে। সাদাকালো পর্দায় তখন হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার রামধনু সম্মতি। মৃদু স্পর্শ করে মাধবী বাসর। “যদি ওগো কাঁদে মোর ভীরু ভালোবাসা জানি তুমি বুঝিবেনা কভু তারি ভাষা, হয়ত কিছুই নাহি পাবো তবুও তোমায় আমি দূর হতে ভালোবেসে যাব।” এমন সন্ধ্যায় মায়ামাখানো গানে বারবার ফিরে পাওয়া আপনাকে।”এই চাঁদের অথিতিরে বরন” করে নেওয়া কলমকথায়। গায়িকাদের “ফ্যান” হওয়া যায় কিনা জানা নেই কিন্তু “জয়জয়ন্তী” থেকে “সপ্তপদী” বুঝে ওঠার লম্বা পথচলায় যাঁর গানে কান্নাহাসির দোলাচল, সেই সুরসম্রাজ্ঞি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে প্রণাম জানায় সাধারণের “নায়িকা সংবাদ”।
সুষ্মিতা রায়চৌধুরী লেখিকা/ব্লগার নিউজার্সি
Community tributes to sandhya mukherjee
Prabir Roy, Past President of CAB New York
We lost two legends of Bengali music history Lata Mangeshkar and Sandhya Mukherjee within a week, says Prabir Roy, past president of CAB- Cultural Association of Bengal. CAB was proud to arrange Gitasree Sandhya Mukherjee's programs in North America says Roy. Sandhya Mukherjee was accompanied by legendary tabla player Radha Kantha Nandi. She sang one duet with her daughter Soumi.After her return to Kolkata, HMV released one album in her honor and captured all the songs she sang in North America, Roy says. The Mayor of Nashville gave her key of the city and to honor her and Prabir Roy, gave Sandhya Mukherjee flower bouquet and plaque.
Suranjan Bhanja Choudhury is an established Indian classical and semi-classical singer and musician from New Jersey. He has dedicated a semi classical and pure classical by Sandhya Mukherjee.
Play Video
পথ ছাড়ো ওগো শ্যাম কথা রাখো মোর...
Play Video
আল্লা জানে মৌলা জানে ... রাগ মিয়াকি টোরি
Abhijit Sanyal hosts "Probaha" - a Bengali Radio program on EBC Radio every Sunday morning 10am. He played these talk shows on Sunday, February 20th.
Play Video
Kothay O Sure Sandhya Mukherjee: Live Interview
Play Video
Kothay O Sure Sandhya Mukherjee: Live Interview
Kohinoor Kar, Ph.D., P.E., PTOE, a professional engineer in the State of Arizona and a Faculty Associate at Arizona State University. Very fond of classic Bengali films and modern songs, he recalls many romantic scenes from Uttam-Suchitra movies with Sandhyaji's unforgettable and unique voice. He wrote:
পথ শেষ হয় না
আটচল্লিশ থেকে গীতশ্রীর পথ চলা –
কত প্রজাপতি মনে গুনগুন করে
মিষ্টি প্রেমের গা্ন,
আর ডানা মেলে বসে
চম্পা-চামেলি-গোলাপ বাগানে।
কত সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
মায়াবতী মেঘ আনে ঘুমঘুম ভাব,
এক অদ্ভুত পিয়াসায়
বিরহকাতর মন বলে –
নাহয় রহিতে কাছে!
ভালোবাসার এত কথা এত সুর –
হাসি-কান্নায় আসর জমায়
জলসাঘরে বেলোয়াড়ী ঝাড়,
রাত ফুরোলে চেনেনা কেউ,
তবু ইন্দ্রধনু স্বপ্ন ছড়ায় পথ শেষ হয় না।
শ্রদ্ধাঞ্জলি ~ ড. কোহিনূর কর, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভারসিটি, ইউ.এস.এ.
Niranjan Roy, Philadelphia - An Electrical Engineer by profession writes - My sweet memory of Sandhya Mukherjee
Legendary singer Geetashree Sandhya Mukherjee passed away on February 15th, 2022 at the age of 90 (11/4/31 ~ 2/15/22). Millions mourn her death, millions miss her, and millions celebrate her life, including myself. Sandhya Mukherjee will always have a special place in my heart given a brief but memorable encounter from a pivotal time in my life.
It was 1984. On a very short visit to Calcutta I found my dream girl and got married. In little less than two weeks after the wedding, I had to drag myself back to America, leaving my heart behind – it was devastating.
It was then that Sandhya Mukherjee came to New Jersey for a concert. I was thrilled to get a chance to see, in-person, my favorite singer!
As usual, from the very beginning, with her unique melodious voice and style, she kept the audience mesmerized. During the 15 minute intermission, I – along with many others– approached her for an autograph. But I did not have a notebook or anything else that could be signed. Suddenly, it clicked – I took out the picture of my newlywed bride that I was carrying in my wallet. I gave it to her and said in a low voice, “This is the picture of my wife. We married recently, but because of visa restrictions, I had to return, leaving her alone back in Calcutta. Both she (I did not know for sure) and I are your fans. She would be very happy to see your autograph on her picture!” She eagerly took the picture with a smile and said, “Sure!” Instantly, I could feel her love and affection for the new couple. She gave her autograph and said, in her same, melodious voice, “My blessings to both of you – be happy.” Oh my God, I was overjoyed with the treasure I got! I will never forget that moment and cherish it forever. Along with millions, surely, I miss her – but I miss her a little more!
ডেথলি হ্যালোর মালিকানা
সাহানা ভট্টাচার্য্য
খবরটা যখন এল আমি সদ্য ডিনার সেরে আইসক্রিম নিয়ে বসেছি। ল্যাপটপে চলছে হ্যারি পটার এন্ড ডেথলি হ্যালোজ, পার্ট টু। লাভগুড তখন হ্যারিদের ডেথলি হ্যালোর মহিমা বোঝাচ্ছেন একে একে - যাদুদন্ড, মৃতসঞ্জীবনী পাথর আর অদৃশ্য চাদরের সম্মেলনে কিকরে একজন মানুষ ভয়াল মৃত্যুকেও জয় করতে পারে, বহুবার দেখা দৃশ্য আবার দেখছিলাম মগ্ন হয়ে। একজন কিংবদন্তি বছরের পর বছর ধরে তাঁর কোকিলনিন্দিত কন্ঠ শুনিয়ে সারাবিশ্বকে মোহাবিষ্ট করে রেখেছেন - খুঁটিয়ে দেখতে গেলে আমার পক্ষে লতাজী সম্পর্কে ওইটুকুই বলার কথা। এক-দুচামচ আইসক্রিম খেতে খেতেই নিউজ চ্যানেল খুললাম। আইসক্রিমটা শেষ হতে হতে কখন যে চোখদুটো জলে ভরে গেল টেরও পেলাম না। আমি হলাম ছাপোষা গানপাগল এক মানুষ। গান দিয়েই সুখদুঃখ সব টের পাই। এর আগে কিংবদন্তি মান্না দে চলে যাওয়ার পর আত্মীয়বিয়োগের মত যন্ত্রণা অনুভব করি, কিন্তু তার কারণ আমি ওঁকে চিনতাম। প্রিয় শিল্পী যাঁকে কখনো চোখেও দেখিনি, তিনি এতটা জুড়ে ছিলেন - তা টের পাইনি তো!
তিনদিন পর রেডিও জিন্দেগী আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রণ পেলাম শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার জন্য৷ থিসিস লেখা ছেড়ে কোথাও যাই না, কিন্তু শ্রদ্ধাঞ্জলিকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা হলনা। গিয়ে দেখি ট্রাইস্টেট থেকে আমার মত আরো জনাদশেক শিল্পী আমন্ত্রিত। সকলেই ত্রিশোর্ধ, খালি একজন পঞ্চদশী, ভারতীয় বাবামা এদেশেই জন্ম দিয়েছেন তাকে। চোস্ত ইংরেজিতে সবার সাথে কথা বলে চলেছে ছোট মেয়েটি, মুখেচোখে কিশোরীসুলভ সারল্য, অনভ্যস্ত লেহেঙ্গাচোলি সামাল দিচ্ছে অনেকগুলো মেহনতী সেফটিপিন। গানবাজনার সূত্রে দেখেছি অনেক ভারতীয় বাবামায়েরই সন্তানেরা ক্লাসিকাল শেখে, আমি ভাবলাম এও তেমনই বুঝি। চমকে গেলাম ও যখন নিখুঁত উচ্চারণে 'কুহু কুহু বলে কোয়েলিয়া' গেয়ে উঠলো। গল্পে গল্পে ওর মায়ের কাছে জানলাম, পঞ্চদশী লতাজীর গানের পরম ভক্ত! দেশ-কাল-সীমানা-প্রজন্ম পেরিয়ে ওই কন্ঠের ভক্ত ছোট মেয়েটি - ইন্দ্রজাল, তাই না!
চিত্ত অসাড় হল বেশ কিছুক্ষণ। তারপর হঠাৎ ওই পঞ্চদশীর কন্ঠ মনে পড়লো। অল্প অল্প করে মনটা শান্ত হল। কিংবদন্তিদের চলে যাওয়ায় ভক্তের মৃত্যুশোকের বেদনা কি কিছুতে কমে? কিন্তু অদ্ভুত এক উপলব্ধিতে মনটা আচ্ছন্ন হয়ে গেল। ঠিক মনে হল, আজ যদি এখানে আরেকটা শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান হয়, আমি নিশ্চিত দেশকালসীমানা পেরিয়ে কোন এক কিশোরী তার গানের প্রজাপতির পাখার রঙ মেখে ঠিক ইন্দ্রধনু ছড়াবে। মানবদেহ নশ্বর, কিন্তু এই কীর্তিগুলো অধিকারী মানুষেরা প্রকৃত অমর, ডেথলি হ্যালোর মালিক।
ভক্তদের প্রেমে কিংবদন্তিরা হাজার হাজার বছর বেঁচে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। সন্ধ্যাপ্রদীপের উজ্জ্বলতার কোন ক্ষয় নেই।
Ajoy Chanda, Philadelphia - A Computer Engineer by profession talks about - My growing years with Sandhya Mukherjee
My growing years in Bengal, partly in the suburbs and partly in Kolkata, were totally engulfed by Uttam Kumar, Suchitra Sen, Hemanta Mukherjee and Sandhya Mukgerjee. Everything that came into me as youthful romanticism, how to hum a song looking at beautiful girls, how to look at someone with a loving flair and that feeling of romanticism in those years of youth - all filtered down from seeing Uttam-Suchitra films and listening to songs like - "Ai poth jodi na sesh hoy" and "Kichukhon aro na hoi rohite kache" - all sung by the ever touching voices of Sandhya and Hemanta Mukherjee.
Geetasree Sandhya Mukherjee was an extraordinarily talented singer, there was no one like her or will be, we are going to miss her! God bless her soul.
Sudipta Chattopadhyay
Editor's Note:
আমরা সবসময় কমিউনিটির সবাইকে উৎসাহ দিতে চাই, আমাদের কমিউনিটির মন্দিরা চট্টোপাধ্যায় তাঁর হৃদয় থেকে উৎসারিতকিছু লাইন বাপি ,লতা ও সন্ধ্যা’র উদ্দেশ্যে লিখে পাঠিয়েছেন।
এই আকাশে বিরাজ করে তিন তারকা
বাপি, লতা ও সন্ধ্যা
ওগো শোন! ওগো শোনো!
আকাশ,শুনেছি তুমি নাকি সকলের বন্ধু!
তবে তুমি কেন নিয়ে গেলে
আমাদের তারকাদের সুদূর আকাশে?
তোমার এত তাড়া কিসের?
তোমার আকাশে কি তারার অভাব ছিল ?
আমি জানি ,আমাদের তারকারা যে জ্বল জ্বল করে
জ্বালিয়ে দিল তোমার সারা আকাশ!
একবার কি ভেবেছিলে আমাদের মত অনাথদের কথা?
আমাদের দীপগুলো যে হুটহাট করে নিভিয়ে দিয়ে গেলে!
শোনো বন্ধু আকাশ,তোমার সঙ্গে আড়ি আড়ি আড়ি!
মন্দিরা চট্টোপাধ্যায়
Play Video